بِسْــــــــــــــــمِ اﷲِالرَّحْمَنِ الرَّحِيم
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে মিরাজের রাত্রিতে জাহান্নাম দেখানো হয় যাতে করে তিনি তাঁর উম্মতকে এর কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করতে পারেন।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একজন ফেরেশতাকে দেখলেন যিনি কখনো হাসেন না বা তার
চেহারায় হাসির-খুশির কোনো চিহ্ন মাত্র নেই। জিব্রাইল (আঃ) কে জিজ্ঞাসা করলে
তিনি বলেন, তিনি হচ্ছেন জাহান্নামের রক্ষী।
যারা এতিমের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাত করে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে তাদের
অবস্থা দেখানো হয়। তাদের ঠোট ছিলো উটের ঠোটের মতো অনেক বড়। তারা নিজেরাই
পাথরের টুকরার মতো আগুনের অঙ্গার ভক্ষণ করছিলো আর সেই অঙ্গার তাদের
পায়খানার রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলো।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যারা
সুদ খায় তাদেরও দেখেছিলেন। তাদের ঠোট এতো বড় ছিল যে, তারা তাদের ঠোট নিয়ে
নাড়াচাড়া করতে পারছিলোনা। ফেরাউনের অনুসারীদের জাহান্নামে নেওয়ার সময় এসব
সুদখোরদের পায়ে মাড়িয়ে যাচ্ছিলো।
তিনি (সাঃ) যিনাকারীদেরও
দেখেছিলেন। তাদের সামনে তাযা গোশত এবং দুর্গন্ধময় পচা গোশত ছিল কিন্তু তারা
তাযা গোশত রেখে পচা গোশত ভক্ষণ করছিলো।
যেসব বিবাহিতা নারী
স্বামী থাকা স্বত্বেও যিনায় লিপ্ত ছিলো আর তার ফলে জন্ম নেওয়া অবৈধ
সন্তানকে নিজের স্বামীর বলে চালিয়ে দিতো তাদেরকে তাদের বুকে বড় বড় কাঁটায়
বিদ্ধ করে শূণ্যে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো।
- আর রাহীকুল মাখতুম থেকে নেওয়া।
আল্লাহ আমাদের সকলকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন, আমিন।
ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ
ٱلْعَٰلَمِين
0 comments:
Post a Comment